ঘরে ফেরা, আমার স্বাধীন ঘরে ফিরে নিজের ভাষায় কথা বলা
১৬ই ডিসেম্বরে রেডিওতে যখন শুনলাম বাংলাদেশ স্বাধীন, তখন সকল আনন্দের মধ্যে একটা কথাই মাথায় বেশী করে ঘুরপাক খাচ্ছিল, “এবার তবে বাড়ি ফিরতে পারব, কথা বলতে পারব আমার প্রাণের বাংলা ভাষায়।” ১৬ ডিসেম্বর শুধু আমাদের বিজয় দিবস না, হারিয়ে ফেলা বাড়িতে আবার ফিরে আসার অর্জিত প্রতিশ্রুতির আরেকটা নাম।
ভারতীয় শরনার্থী শিবিরে হাড় জিঞ্জিরে দেহ নিয়ে দিনের পর দিনের পরে থাকলেও মনে মনে একটাই চাওয়া ছিল। মরলে যেন দেশের মাটিতে মরি, অন্তত কবরটা যেন আমার বাড়ির পাশে হয়।
২৬ শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর, নয়টা মাস ছিলো নয়টা বছরের সমান। যখন হানাদার বাহিনী আমাদের গ্রামে আসে, তখন পরিবার নিয়ে পাট খেতে লুকিয়ে ছিলাম। ওরা বাড়ি ঘর সব জ্বালিয়ে দিয়ে গেল। পা বাড়ালাম বর্ডারের উদ্দেশ্যে। দেশের দামাল ছেলেরা কিন্তু রয়ে গেল, ওরা শুধুমাত্র সাহস আর দেশপ্রেম দিয়ে স্বল্প অস্ত্রে জয় করে ফেলল নিজেদের প্রায় হারিয়ে ফেলা মাতৃভূমিকে। প্রায় ৩০ লক্ষ্য শহীদের আত্মত্যাগের কারণে আজ আমরা আমাদের দেশে মাথা উঁচু করে হাটি।
১৬ই ডিসেম্বরে রেডিওতে যখন শুনলাম বাংলাদেশ স্বাধীন, তখন সকল আনন্দের মধ্যে একটা কথাই মাথায় বেশী করে ঘুরপাক খাচ্ছিল, “এবার তবে বাড়ি ফিরতে পারব, কথা বলতে পারব আমার প্রাণের বাংলা ভাষায়।” ১৬ ডিসেম্বর শুধু আমাদের বিজয় দিবস না, হারিয়ে ফেলা বাড়িতে আবার ফিরে আসার অর্জিত প্রতিশ্রুতির আরেকটা নাম।
রেফারেন্স -
২। বিজয়কে সার্থক করে তুলতে হবে, প্রথম আলো