শুধু পাশাপাশি বিল্ডিংয়ে নয়, থাকুন প্রতিবেশীর হৃদয়ে

সকাল থেকে নিতুর বাসার সবার মন খারাপ। মন খারাপ হবেই না বা কেন, তাদের আদরের ছোট্ট বিড়ালটিকে যে কোথাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বিল্ডিংয়ের সবগুলো ফ্ল্যাটে যেয়ে খুঁজে এসেছে, খুঁজে এসেছে পাশের অলিগলি থেকেও। কিন্তু কোথাও পাওয়া গেল না তাদের পোষা বিড়ালটিকে।

এইদিকে ময়না ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের জানালার কার্নিশে একটি বিড়াল চুপচাপ বসে আছে। বাবা-মা কে ডেকে তাকে ঘরের মাঝে নিয়ে আসা হলো । ময়না তো খুব খুশি, তার একটা খেলার সাথী হলো ভেবে। তবে তার আনন্দ একটু পরেই ফিকে হয়ে গেল। কারণ ময়নার আম্মু বললেন -

“ময়না, এই বিড়ালটিকে দেখে মনে হচ্ছে কারো পোষা বিড়াল। দেখি আশেপাশের কারো বিড়াল হারিয়েছে কিনা, যদি কারো না হয় তবেই তুমি ওকে রাখতে পারবে। কিন্তু, যদি ওর মালিককে পাওয়া যায়, তাহলে কান্নাকাটি না করে দিয়ে দিতে হবে। আমি স্কয়ারফিটে পোষ্ট দিচ্ছি।”

এই দিকে নিতুদের পাশে ফ্ল্যাট থেকে আংকেল জানালেন স্কয়ারফিট থেকে জানা ময়নাদের বাসায় পাওয়া বিড়ালের কথা, নিতুরা তখন ছুটল কমিউনিটিতে ময়নাদের বিল্ডিংয়ের দিকে। সেই বাড়িতে যেয়ে শুধু যে তারা বিড়ালটিকে পেল তা নয়, এই ঘটণার পর থেক ময়না নিতু আর বিড়াল ছানাটি একে অপরের পরম বন্ধু।

মাঝে মাঝে ময়না আর নিতুর আম্মু সেদিনের ঘটণা মনে করেন, “বুঝলেন ভাবী বিড়ালটি আমাদের বাড়িতে না আসলে আপনাদের সাথে আমাদের সেভাবে আলাপ হত না”

- হ্যাঁ ভাবী, স্কয়ারফিট আর বিড়ালের কল্যানে আপনাদের মত ভালো প্রতিবেশীর সংগে এখন নিয়মিত আড্ডা হয়। সেদিন যদি স্কয়ারফিট না থাকত, তাহলে নিতু হয়ত বিড়ালের শোকে অসুস্থ হয়ে যেত।”


আপনাদের কমিউনিটিতে কোন ডাক্তার আছে কি?

প্রতিবেশীরা বিপদে কাজে না লাগলে কে তবে কাজে লাগবে ?
ঘুম ভেঙ্গে গেল রাত ৩ টায় । দেখি আম্মুর ঘর থেকে গোঙ্গানির আওয়াজ আসছে । কাছে যেয়ে অবস্থা দেখে ভয়ে আমার মাথা ঠিকমত কাজ করছে না । এত রাতে কোথায় নেব, কিভাবে নেব কিছুই বুঝতে পারছিনা ।