কমিউনিটিতে যদি সমাধান থাকে, তাহলে আর বাইরে যাবেন কেন?
আম্মা বুঝলে, যদি দু-চারটা বাচ্চাকে পড়াতে পারতাম তাহলে আমার সময়টা কাটতো, সাথে নিজের হাত খরচটা নিজে চালাতে পারতাম।
- কিন্তু, নীলা ঢাকা শহরে একবার বের হলেই শরীরে ক্লান্তি এসে ভর করে। তুই নিজে একবার ভার্সিটি যাস, সেখান থেকে এসে বিছানায় গড়াগড়ি দিস। আবার বের হবি?
আম্মা, আমার কত বন্ধুরা তো এভাবেই টিউশনি করায়। আমাকেও তো কষ্ট করা শিখতে হবে। আম্মা, এখন ভার্সিটি যাই, বাই।
নীলা চলে গেলে আমেনা বেগম ভাবতে বসলেন কিভাবে মেয়ের কষ্ট কমানো যায়, হাজার হোক মায়ের মন তো! হঠাৎ তার স্কয়ারফিটের কথা মনে পড়ল।
তিনি আশেপাশের বিল্ডিংয়ে কোন বাচ্চার টিউশন প্রয়োজন কিনা জানতে পোষ্ট করলেন নিজের কমিউনিটিতে। প্রথমদিন একজনকে পেয়েও গেলেন, পরের দিন আরো কিছু বাচ্চার খোঁজ পেয়ে তিনি নীলাকে জানালেন।
- আম্মা, তুমি আমার সোনা আম্মা, আমাকে তো তাহলে আর দূরে কথাও যেতে হলো না, আর বাড়তি কোন কষ্টও হবে না।
নীলা, তোর ভাগ্য ভালো। আমি কি জানতাম কমিউনিটির মাঝেই তুই টিউশন পেয়ে যাবি। স্কয়ারফিট ছিলো দেখে আমি শুধু চেষ্টা করেছি, ওরা তো কমিউনিটি ভিত্তিক সেবাগুলোকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।
- হ্যাঁ আম্মা, স্কয়ারফিটের জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছু এখন কত সহজ।