প্রতিবেশীদের সাথে আড্ডা এবং আনন্দে ভরে থাকুক আপনার ঘর

অফিস থেকে ফেরার সময় একটা পাকা তরমুজ দেখলেন রহিম সাহেব। তার কাছে মনে হল এটা এই সীজনের সেরা তরমুজ। মেপে দেখলেন দশ কেজির উপরে। “আজকে একটা স্বাদের তরমুজ খাব” - ভাবতে ভাবতে তরমুজ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন।

সীমার মা, কাটো কাটো, এরকম তরমুজ তাজা তাজা খাওয়ার লোভ সামলানো কঠিন।

- আচ্ছা, তোমার কি আক্কেল বুদ্ধি কোনদিন হবে না? এত বড় তরমুজ কেউ আনে? আমরা মানুষ মোটে তিনজন, বাকীটা কি করব? তুমি তো আবার ফ্রিজে রাখা তরমুজ খাবে না, যা খাবে সব হতে হবে ফ্রেশ।

দাঁড়াও, এত টেনশন কিসের? আমি যেন হাত-মুখ ধুয়ে এসে দেখি তরমুজ কেটে ফেলেছ। আর এই তরমুজ সাবাড় করার দায়িত্ব আমি নিলাম। হাহাহা।

- তোমার মাথাটা একেবারে গেছে। একা মানুষ সাবাড় করবেন!

রহিম সাহেব হাত-মুখ ধোয়ার আগে স্কয়ারফিটে (SquareFeet) একটা নোটিশ (Notice) দিলেন - “ভাই, ভাবী এবং বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে যারা তরমুজ প্রেমী তাদের জন্য আমার বাসায় ১০ মিনিট পর দাওয়াত । দ্বিতীয়বার চিন্তা না করে ঠিক ১০ মিনিট পরে চলে এসো । সবচেয়ে ভালো স্বাদের তরমুজ খেয়ে যাওয়ার ফাঁকে একটা আড্ডা হয়ে যাক । এ সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য ।”

কিছুক্ষণ পরে হাত-মুখ ধুয়ে এসে তিনি দেখলেন কমিউনিটির বেশ কয়েকজন চলে এসেছে । তরমুজ তো রেডি, সাথে মুড়ি-চানাচুর মাখছেন ভাবীরা । মনে মনে তিনি ভাবলেন -

“তিন জনের সংসার তো কি হয়েছে, প্রতিবেশীরা  তো আছে । সেই সাথে আছে স্কয়ারফিট, যাদের জন্য এই বুড়ো বয়সে এসেও নিঃসঙ্গতা এখনো পেয়ে বসেনি । এই তো জীবন ।”

প্রতিবেশীদের গল্প আরো পড়তে পারেন -

প্রতিবেশীরা বিপদে কাজে না লাগলে কে তবে কাজে লাগবে ?
ঘুম ভেঙ্গে গেল রাত ৩ টায় । দেখি আম্মুর ঘর থেকে গোঙ্গানির আওয়াজ আসছে । কাছে যেয়ে অবস্থা দেখে ভয়ে আমার মাথা ঠিকমত কাজ করছে না । এত রাতে কোথায় নেব, কিভাবে নেব কিছুই বুঝতে পারছিনা ।