বাংলাদেশের সকল বিল্ডিং এবং কমিউনিটি এবার থেকে থাকবে সুরক্ষিত

অপরাজিতা কমিউনিটিতে ছোট্ট একটা খেলার মাঠ বাচ্চাগুলোর জন্য যেন এক টুকরা স্বর্গ । দারোয়ান সুজন মিয়া এই বাচ্চাগুলোকে খেলার সময়, বিশেষ করে বিকেল বেলা গেট থেকে দেখে রাখে । এদের খেলতে দেখে গ্রামে থাকা তার নিজের বাচ্চাদের কথা মনে পড়ে যায় । গতকাল বিকেলে এমনি খেলার সময় নিতা নামের একটা বাচ্চার সাথে নতুন এক বোরখা পড়া মহিলাকে গেটের দিকে আসতে দেখে, নাম জিজ্ঞেস করে সে ।    

নিতা বলে - “এটা আমার ফুপুমনি, আমরা একটু দোকানে যাব আংকেল” । সুজন মিয়া কোন বাড়তি কৌতুহল ছাড়া ওদের বাইরে যেতে দেয় । কিন্তু ১ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও নিতার না ফেরায় সে চিন্তায় পড়ে যায় । গেটের দ্বায়িতে থাকা অবস্থায় সে বাইরে যেতে পারে না, তাই নিতার আম্মুর নাম্বারে সে কল দেয় । এর পরের ঘটনার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না ।  

নিতার আম্মু বলে তাদের বাসায় কোন মেহমান আসে নি । সবাই চারিদিকে খোঁজ করেও নিতাকে পায় না । সুজন মিয়ার আত্মাটা কষ্টে ছিঁড়ে যায় । আর নিতার আম্মু একটু পর পর মূর্ছা যাচ্ছে ।

এরকম ঘটণা কিন্তু ঘটতে পারে যে কোন সময় । কারণ আমাদের বাসা বাড়িতে দারোয়ান থাকলেও ভিজিটরের আনাগোনা নিয়ে সাধারণত নেই বাড়তি কোন গুরুত্ব নেই । খুব জোড় একটা রেজিষ্টার খাতা পর্যন্ত রাখা হয় । যার দ্বারা নতুন কোন আগন্তুকের যাতায়াতের ট্র্যাক পুরোপুরি রাখা যায় না ।

বাসা-বাড়িতে আগন্তুকের জন্য রেজিস্টার খাতার সার্ভে রেজাল্ট 

সার্ভের ফলাফল

স্কয়ারফিটের সার্ভেতে রেজিষ্টার খাতা নিয়ে উঠে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । জানা গেছে সার্ভেতে অংশ নেওয়া ৬৬.৭% মানুষের বাসায় কোন ধরনের এন্ট্রি বই নেই । আর সাধারণ রেজিষ্টার খাতা আছে মাত্র ৩৩.৩% মানুষের বাসায় । অর্থাৎ শহরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বাড়িতে আগন্তুকের কোন রেকর্ড রাখা হয় না ।

এই সমস্যা সমাধানে স্কয়ারফিট নিয়ে এসেছে “ডিজিটাল ভিজিটর মেইন্টেনেন্স” সেবা

চলুন তবে দেখে নেই কি কি সুবিধা থাকবে এই সেবাটিতে-

১। ডিজিটাল এন্ট্রি বুক এবং ইন্সট্যান্ট আপ্রুভাল

যদি আপনার বিল্ডিং এ নতুন কেউ ঢুকতে চায়, তার সব প্রয়োজনীয় তথ্য নেওয়া হবে । তারপর তাকে তার গন্তব্যের সদস্যের দ্বারা তাৎক্ষনিক ডিজিটাল ভাবে যাচাই করে তবেই ঢুকতে দেওয়া হবে ।

আর সব তথ্য জমা থাকবে দারোয়ানের কাছে থাকা ডিজিটাল এন্ট্রি বুক এ ।  

২। গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ  

বিল্ডিং থেকে কখন কে বের হলো এবং আসলো, তার ডিজিটাল ট্র্যাক রাখা হবে এই সেবাটিতে ।

এবার থেকে আপনার কমিউনিটি থাকবে সুরক্ষিত । সুজন মিয়াদের মত কর্মীদের কাজে হবে সুবিধা । আর নিতার মত দূর্ঘটণার শিকার হবে না কেউ ।


বাসা-বাড়ির খরচের হিসাব নিয়ে ঝামেলায় আপনাকে আর পরতে হবে না -

বাংলাদেশের বাসা-বাড়ির সকল খরচের হিসাব এখন হবে সহজে
যদি একটা প্ল্যাটফর্ম থাকত, যেখানে প্রতিটা বিল্ডিংয়ের সকল সদস্যের উপস্থিতির ভিত্তিতে অটোমেটিক অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার থাকত, তাহলে কতই না ভালো হত । এরকম একটা প্ল্যাটফর্ম এখন আছে কিন্তু