কক্সবাজারের শুঁটকি, স্বাদে এক নাম্বার
ভাবী রান্নাতে না, আসল টুইস্ট শুঁটকিতে লুকানো। আমার বাড়ি কক্সবাজার, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে একদম টাটকা এবং মেডিসিন ছাড়া শুঁটকি সবসময় থাকে আমার কাছে। যেটার গন্ধ তেমন তীব্র নয়, আর স্বাদটাও বাজারের শুঁটকির চেয়ে অনেকগুনে ভালো
পাশের বাসার মুক্তা ভাবী প্রায়ই শুঁটকি মাছের তরকারী দিয়ে পাঠায়। এত মজা হয় যে কি বলব। আমার বর আবার শুঁটকি মাছ খায় না, কিন্তু মুক্তা ভাবী পাঠালে তার অন্য হিসাব, অর্ধেকটা একাই খাবে।
তো ভাবীকে একদিন বললাম -”ভাবী কিভাবে শুঁটকি রান্না করেন বলেন না, মিতার আব্বু আমার হাতের শুঁটকি খেতে পারে না কিন্তু আপনার হাতেরটা দিব্যি খায়। একদিন আমি আমার হাতের শুঁটকি দিয়ে বলেছি ভাবী পাঠিয়েছে, কিন্তু সে মুখে দেওয়া মাত্র বুঝে গেছে এটা আমার রান্না করা।”
মুক্তা ভাবী বললেন, -“ভাবী রান্নাতে না, আসল টুইস্ট শুঁটকিতে লুকানো। আমার বাড়ি কক্সবাজার, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে একদম টাটকা এবং মেডিসিন ছাড়া শুঁটকি সবসময় থাকে আমার কাছে। যেটার গন্ধ তেমন তীব্র নয়, আর স্বাদটাও বাজারের শুঁটকির চেয়ে অনেকগুনে ভালো।”
-”ও ভাবী এই ব্যাপার, তা ভাবী কোন কোন মাছের শুঁটকি আপনি ওইখান থেকে নিয়ে আসেন?”
-”কক্সবাজারে অনেক মাছের শুঁটকি হয়, যার ভেতর চেপা, রূপচাঁদা, লইট্টা আর চিংড়ী মাছের গুলো আমরা খাই। ভাবী আপনার কোনটা ভালো লাগে? এরপর থেকে আপনার জন্য নিয়ে আসব।”
আমি তো খুশিতে গদগদ, বললাম -”ধন্যবাদ ভাবী, আপনার মতো ভাবীই তো চাই”
তা, আপনার বিল্ডিংয়ে আছে নাকি মুক্তা ভাবীর মতো কক্সবাজারের কোন মানুষ? জানেন না, তো কি হয়েছে, সহজে জেনে নিন স্কয়ারফিটের মাধ্যমে। আর হ্যাঁ, শুঁটকির ব্যপারটা বুঝতেই তো পারছেন!