টাঙ্গাইলের চমচম, টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য

ঢাকায় আমরা যারা থাকি তারা মনে মনে বেড়াতে যাওয়ার জায়গা খুঁজি। তবে একা বেড়াতে যাওয়ার চেয়ে কয়েকজন মিলে বেড়াতে যাওয়াটা স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রতিবেশীরা মিলে কাছাকাছি বেড়াতে যাওয়ার জন্য টাঙ্গাইল একটি উপযুক্ত যায়গা। আর বেড়াতে যাওয়ার মজাটা তখনই পরিপূর্ণ হবে যখন দুইশ বছরের পুরনো ধাঁচে তৈরী করা চমচম নিজে চেখে দেখবেন।

টাঙ্গাইলের চমচম, ছবি কৃতজ্ঞতা দৈনিক ইত্তেফাক


অনেকে টাঙ্গাইলের চমচমকে পোড়াবাড়ির চমচম নামেও চেনেন। আসলে দুইশ বছরের এই মিষ্টিটার উৎস শহর থেক ৬ কিলোমিটার দূরে, পোড়াবাড়ি নামের এই গ্রামে। চমচম কি থেকে তৈরী সেটা জানেন তো? মূলত ছানা আর চিনি থেকে তৈরী হয় এই মিষ্টান্ন।

ছানা মথে তা থেকে একটু অংশ নিয়ে লম্বা আকার দিয়ে গরম সিরায় ডুবিয়ে মিষ্টিটা বানানো হয়। চুলায় রাখা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না মিষ্টির বাইরের অংশ ইটের মতো লাল হয়। এর বাইরের দিকটায় ঠিক যেন পোড়াবাড়ির পোড়ানো ইটের মতো রং, আর ভেতরে একদম নরম।

চমচমের আসল উৎপত্তিস্থল অন্য জায়গাতে হলেও টাঙ্গাইল শহরের পাঁচআনি বাজারে গেলেই দেখতে পাবেন দেশের সব জায়গাতে এই বিখ্যাত চমচম পাঠানোর জন্য প্যাকেট করা হচ্ছে। সেই সাথে স্থানীয়দের ভিড় তো লেগে আছেই।

তবে টাঙ্গাইলবাসীদের বিশ্বাস,

টাঙ্গাইল ছাড়া অন্য কোথাও একই রেসিপিতে এরকম স্বাদের মিষ্টি তৈরী সম্ভব না, তাদের এলাকার আলো-বাতাসের কারণে এই মিষ্টি এত ভালো খেতে।

যদি টাঙ্গাইল যাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার যে প্রতিবেশী টাঙ্গাইল থাকে, একদিন তাকে বলে টাঙ্গাইলের চমচম আনিয়ে ফেলুন না। ও হ্যাঁ, প্রতিবেশীদের ফেলে একা খাবেন না কিন্তু। সকলে মিলে নিজেদের কমিউনিটিতে বসে পোড়াবাড়ির চমচম খাওয়ার সাথে আড্ডা দিলে তবেই না জমবে।

আরো জানতে চাইলে পোড়াবড়ির চমচম নিয়ে ইত্তেফাকের প্রতিবেদনটি পড়ে নিতে পারেন


খেয়েছেন নাকি চাঁদপুরের ইলিশ?