সিরাজগঞ্জের সলপের বিখ্যাত ঘোল
রমজানে এই ঘোলের বিপুল চাহিদা থাকায় আমাদের কাদের সাহেব আগে থেকে অর্ডার করে এই ঘোল আনিয়েছেন। কাদের সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার বিল্ডিংয়ে আছে নাকি সিরাজগঞ্জের কোন প্রতিবেশী? কে আছে না জানলে জেনে নিন স্কয়ারফিটের মাধ্যমে। আর আবদার করুন সলপের বিখ্যাত ঘোল খাওয়ার জন্য, আশাকরি নিরাশ হবেন না।
রোজার সময় আমাদের বিল্ডিংয়ের সবাই একসাথে একদিন ইফতার করি। সেদিন যে যা পারে নিয়ে আসে, বাসার দারোয়ার এবং সব হেল্পিং হ্যান্ড সবার দাওয়াত থাকে, একটা অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তবে এবারে ইফতারের শুরুটা ছিল দারুণ।
প্রথমে দেখলাম গ্লাসে ঘোল, দেখে তেমন আহামরি মনে হয়নি। কিন্তু মুখে দিয়ে বুঝলাম আমার ধারণা ভুল। খেতে অসাধারণ এই ঘোল কে এনেছে জানতে ইফতারের পরে একটু অনুসন্ধান করে শুনলাম নিচতলার সিরাজগঞ্জের কাদের সাহেব এই ঘোল এনেছে।
সিরাজগঞ্জে অনেক ধরনের ঘোল পাওয়া গেলেও যে ঘোলটি আমরা খেয়েছি সেটি উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ স্টেশনের ঘোল। এর রয়েছে পুরাতন ঐতিহ্য। ঘোল তৈরীতে ব্যবহার হয় খাঁটি দুধ।
চিনি এবং একটু খাবার সোডা দিয়ে সেটা জ্বাল করা হয় ৬-৭ ঘন্টা, তারপর দুধের রং হয়ে যায় ঘন এবং লালচে। সারারাত সেই দুধ রেখে দিয়ে সকাল বেলা হাতের কায়দায় সর এবং দুধ ঘুটে তৈরী করা হয় এই ঘোল।
প্রতিদিন, বিশেষ করে রমজানে এই ঘোলের বিপুল চাহিদা থাকায় আমাদের কাদের সাহেব আগে থেকে অর্ডার করে এই ঘোল আনিয়েছেন। কাদের সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার বিল্ডিংয়ে আছে নাকি সিরাজগঞ্জের কোন প্রতিবেশী? কে আছে না জানলে জেনে নিন স্কয়ারফিটের মাধ্যমে। আর আবদার করুন সলপের বিখ্যাত ঘোল খাওয়ার জন্য, আশাকরি নিরাশ হবেন না।
পাশের জেলা নাটোরে কি বিখ্যাত?