নাটোরের কাঁচাগোল্লা, যে স্বাদ অন্য কোথাও পাবেন না

আমাদের বিল্ডিংয়ের সবচেয়ে আনন্দের দিন হচ্ছে মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার। কেন? কারণ এই দিনে আমরা যারা বিল্ডিংয়ে থাকি তারা সবাই ঠিক বিকেল ৪ টায় ছাদে জমায়েত হই। আর আড্ডার সাথে হয় একটু খাওয়া-দাওয়া। এবারে শুক্রবারে আনন্দ বেড়ে আরো দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

কারণ একটা সুখবর এসেছে তিন তলার ভাবীদের বাসা থেকে। তবে সুখবর শুধু একা আসে নি, তারসাথে সাথে এসেছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা। আহা, কি স্বাদ তার, এখনো যেন মুখে লেগে আছে। কি সুখবর সেটা জানার আগে চলুন নাটোরের কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে ছোট্ট করে কিছু জিনিস জেনে নেই।

গল্পে পাওয়া যায়, রানী ভবানীর মিষ্টি ছিলো খুব পছন্দের। একদিন তার মিষ্টির কারিগরের অসুস্থতার কারণে মজুত রাখা ছানা হয় নষ্ট হবার উপক্রম, তখন কারিগরের কোন এক সহকর্মী ছানাগুলোর সাথে চিনির রসের একটা মিশ্রণ বানিয়ে ফেলেন। তিনি যখন চেখে দেখলেন খেতে দারুণ মজা এই নতুন মিষ্টি, তখন কিছুটা রাজবাড়িতেও পাঠিয়ে দেন। আমার আপনার কাছে যা এত ভালো লাগে, মিষ্টি প্রিয় রানীর কাছে কি তা খারাপ লাগতে পারে?

না, রানীর কাছেও সেই মিষ্টি ভালো লেগেছিল বলেই আজ কাঁচাগোল্লা নামে এটাকে আমরা চিনি। যদি কখনো ট্রেনে করে নাটোরের উপর দিয়ে যান, তাহলে দেখবেন ফেরিওয়ালারা কাঁচগোল্লা হাতে ট্রেনে উঠে পড়েছে।  

ও হ্যাঁ, তিন তলার ভাবীর বাসাও নাটোরে, তার ছেলের নৌবাহিনীতে প্রমোশন উপলক্ষে তিনি আগে থেকে কাঁচাগোল্লা আনিয়ে রেখেছিলেন আমাদের সবাইকে খাওয়বেন বলে। আপনার বিল্ডিংয়ে আছ নাকি নাটোরের কোন ভাবী, না জানলে জেনে নিন স্কয়ারফিটের মাধ্যমে।


যশোর জেলায় কুলফি! খেয়েছেন কি?

যশোরের কুলফি, মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়
চিনিসহ দুধ রং পরিবর্তন হওয়া পর্যন্ত খড়ির চুলায় জ্বাল দেওয়া হয়। তারপর হাল্কা কর্ণফ্লাওয়ার দিয়ে একটু পর নামিয়ে ঠান্ডা করে বাদামসহ ছাঁচে দিয়ে ফ্রিজে রাখলেই তৈরী হয় কুলফি। পরিবেশনের সময় কলাপাতায় কিছু বাদাম এবং কাঠিসহ কুলফি দেয় ওরা।