যশোরের কুলফি, মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়

চিনিসহ দুধ রং পরিবর্তন হওয়া পর্যন্ত খড়ির চুলায় জ্বাল দেওয়া হয়। তারপর হাল্কা কর্ণফ্লাওয়ার দিয়ে একটু পর নামিয়ে ঠান্ডা করে বাদামসহ ছাঁচে দিয়ে ফ্রিজে রাখলেই তৈরী হয় কুলফি। পরিবেশনের সময় কলাপাতায় কিছু বাদাম এবং কাঠিসহ কুলফি দেয় ওরা।

some kulfi of jessore
আইসক্রিমের চেয়েও খেতে মজা

আমার কোন বাচ্চা এখনো হয়নি। কিন্তু বিল্ডিংয়ের সব বাচ্চাদের দেখে মনটা ভরে যায়। যেহেতু নিজের বাচ্চা নেই তাই ওদের জন্য কিছু করতে সারাক্ষণ সুযোগ খুঁজি। এবার ঈদে বাড়ি থেকে যখন চলে আসব তখন মনে হলো ওদের জন্য কি আনা যায়, উত্তর পেয়ে গেলাম সহজেই।

আমার শ্বশুর বাড়ি যশোরে হওয়ার সুবাদে এখানকার কুলফি মালাই অনেকবার খাওয়া হয়েছে। এটা তেমন রিফাইন্ড কোন আইসক্রিম না, কিন্তু একদম খাঁটি দুধের হওয়ার কারণে আইসক্রিমের চেয়েও খেতে মজা। লোকাল মানুষ নিজেদের বাড়িতে এই মালাই তৈরী করে, যা পাওয়া যায় যশোরের দোকানে দোকানে আর ফেরিওয়ালাদের হাতে হাতে।  

চিনিসহ দুধ রং পরিবর্তন হওয়া পর্যন্ত খড়ির চুলায় জ্বাল দেওয়া হয়। তারপর হাল্কা কর্ণফ্লাওয়ার দিয়ে একটু পর নামিয়ে ঠান্ডা করে বাদামসহ ছাঁচে দিয়ে ফ্রিজে রাখলেই তৈরী হয় কুলফি। পরিবেশনের সময় কলাপাতায় কিছু বাদাম এবং কাঠিসহ কুলফি দেয় ওরা।

আমি অনেকগুলো কুলফি কিনে ভালোভাবে ফ্রিজ করে নিয়ে আসলাম ঢাকাতে। এনে আবার একটু ফ্রিজে রেখে শক্ত করে নিলাম। বিকেলে স্কয়ারফিটে পোষ্ট করে বাচ্চাদের এবং ওদের মায়েদের ডাকলাম নিজের ফ্ল্যাটে।

তারপর কুলফি বের করে বাচ্চাদের দিলাম, সাথে চলল গল্প-গুজব। বাচ্চারা খুব পছন্দ করছে দেখে আমার মনে হলো এরপর থেকে ওদের জন্য আবার কুলফি আনা যাবে। ততোদিন যেন ওরা সবাই এই এলাকাতেই থাকে সেই দোয়াটাও মনে মনে করে ফেললাম।


দিনাজপুরে কি বিখ্যাত?!

দিনাজপুরের স্বাদে ভরা লিচু
ভাবী লিচু এনেছেন দুই রকমের। একটা বেদানা নিচু, আরেকটা চায়না থ্রি। বেদানা লিচুর বিচি ছোট, এবং খুব মিষ্টি। তবে চায়না থ্রি আকারে যেমন বড় তেমনি রসালো। দুই টার দুই রকম স্বাদ।