মুক্তাগাছার মন্ডা, পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ

১৮২৪ সালে স্থাপিত গোপাল পালের দোকান থেকে এই মন্ডার জন্ম। সেই দোকানের মন্ডাকে সবাই আসল মন্ডা নামে চিনি, যা এখন গোপাল পালের উত্তরসূরিরা চালান। তারা কিন্তু মন্ডার রেসিপি এখনো সেভাবে শেয়ার করতে রাজি নন।

3 separated sweet and packets of sweets
এই জনপ্রিয় মিষ্টির জন্ম মুক্তাগাছা নামের এলাকায়


বিল্ডিংয়ের ছাদে সবাই মিলে কোপা আমেরিকার ফাইনাল দেখার জন্য প্রজেক্টর আনা হয়েছে। যথারীতি দুই পক্ষের মাঝে তুমুল উত্তেজনা। এর মাঝে নিজাম ভাই বলে বসলেন যদি আর্জেন্টিনা জিতে যায় তাহলে সবাইকে উনি আসল মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়াবেন।

ভাই ছিলেন ব্রাজিল সাপোর্টার। সেদিনের একটি গোল শুধু যে ব্রাজিলের হারের কারণ হলো তা নয়, আমাদের সবার মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়ার কারণটাও সেটাই।

অনেকেই ভেবে নিলাম ভাই এমনি বলেছেন, এত কষ্ট করে আর্জেন্টিনার জয় হজম করে আবার মন্ডা হয়ত খাওয়াবেন না। কিন্তু, আমাদের অনুমান ভুল প্রমাণ করে কিছুদিন পরেই ভাই মুক্তাগাছার মন্ডা নিয়ে হাজির। স্কায়ারফিটে পোষ্ট দিলেন - “বিল্ডিংয়ের সবার জন্য আসল মন্ডা এনেছি, শেষ হওয়ার আগেই রাত ৯ টায় সবাই ছাদে এসো, একটু আড্ডা দেওয়া যাবে।”

এই জনপ্রিয় মিষ্টির জন্ম ময়মনসিংহ সদর থেকে অনেকটা দূরে মুক্তাগাছা নামের এলাকায়, সেখান থেকেই এই নামের উৎপত্তি। ১৮২৪ সালে স্থাপিত গোপাল পালের দোকান থেকে এই মন্ডার জন্ম। সেই দোকানের মন্ডাকে সবাই আসল মন্ডা নামে চিনি, যা এখন গোপাল পালের উত্তরসূরিরা চালান। তারা কিন্তু মন্ডার রেসিপি এখনো সেভাবে শেয়ার করতে রাজি নন।

তবে মণ্ডা এক প্রকারে সন্দেশ, যেখানে ছানা আর চিনির একটা কেমিস্ট্রি আছে। না খেলে এর স্বাদ বোঝার উপায় নেই সেটা নিজেরা খেয়েই বুঝলাম। খাওয়া শেষে নিজাম ভাই বললেন, “কি ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার সমর্থক দুই পক্ষই খুশি তো?”

ন্ডা নিয়ে আরো জানতে বাংলা নিউজ ২৪ এর প্রতিবেদনটি দেখে নিন