দরকার শুধু প্রতিবেশীর দিকে এক-পা এগিয়ে যাওয়া
মিনির বাচ্চারা বায়না ধরেছে আজকে পিজ্জা খাবেই খাবে। ওরা হাতে হাতে সাহায্য করাতে ঘরের সব কাজ খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেলে মিনির। তারপর আর কি? বাজারে যেয়ে প্রয়োজনীয় সব কিছু কিনে এনে একটা উৎসবের আমেজে প্রিপারেশন শুরু!
বিপত্তি বাঁধল অন্য জায়গাতে। ডো তৈরীর পর টপিং বানাতে যেয়ে দেখা গেল ক্যাপসিকামটাই কেনা হয় নি। মিনি একবার চাইল ক্যাপসিকাম ছাড়াই পিজ্জা বানিয়ে ফেলতে, কিন্তু বাচ্চাদের মন খারাপ দেখে সে অন্য উপায় ভাবতে লাগল।
হঠাৎ তার মনে পড়ল পাশের বিল্ডিংয়ের রীতা ভাবীর কথা। স্কয়ারফিটে নিয়মিত ভাবী তার ছাদ বাগানে ছবি দেয়। সে ফোন বের করে আগের পোষ্ট খুঁজে দেখল ভাবীর বাগানে অনেকগুলো ক্যাপসিকাম গাছের ছবি। তখনই ভাবীকে একটা নক দিল মিনি।
তার কিছুক্ষণ পরে রীতা ভাবীর বাগানে বাচ্চাদের সহ মিনির আগমন। ভাবী লাল, হলুদ আর সবুজ তিন রকমের ক্যাপসিকাম দিয়ে দিলেন। বাসায় এসে মিনি বেশকিছু রঙ্গিন পিজ্জা বানিয়ে ফেলল। বাচ্চারা তো খুব খুশি, তার সাথে খুশি রীতা ভাবী। কেননা মিনির বানানো পিজ্জা আসলেই যে খুব মজা ছিল!
কিছুদিন পরে…
“কি মিনি বানাবে নাকি আরেক দফা পিজ্জা?”
- “কেন ভাবী, গাছের ক্যাপসিকাম বড় হয়েছে বুঝি?”
“হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি কয়েকটা উঠিয়ে রেখেছি, বিকেলে তোমার বাড়িতে পাঠাবো, আসলে স্কয়ারফিটের কারণে তোমার মতো ভালো রাধুঁনির হাতে পিজ্জা খেয়ে স্বভাব খারাপ হয়ে গেছে গো।”
- “ও ভাবী, স্কয়ারফিট কি শুধু আপনার স্বভাব খারাপ বানিয়েছে? আমার বাচ্চারা তো এখন শুধু আপনার ছাদ বাগানে যাওয়ার জন্য শুধু অজুহাত খোঁজে, তার বেলায়?”
ঝটপট বিশাল বহরের মেহমান সামলাতে কমিউনিটি কিভাবে কাজে লাগে জানতে পড়তে পারেন -