একা শুধু নিজের ঘরে নয়, এখন প্রতিবেশীদের সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠবে আপনার শিশু
“মিতু আর ইরার রেজাল্ট আগের চেয়ে অনেক খারাপ হয়েছে । যদিও বাচ্চাদের পড়াশোনা নিয়ে আমার স্বামীর তেমন মাথাব্যথা নেই কিন্তু আমার মন মানছে না ।
নতুন এই এলাকাতে আমার বেবীদের বয়সী কয়েকটা বাচ্চা দেখেছি । ওদের সাথে একসাথে কোন হোম টিউটর দিয়ে অথবা কোচিং এ পড়াতে পারলে হয়ত রেজাল্ট আরেকটু ভালো হত ।
সমস্যাটা হল ওরা কোন বাড়িতে কত নাম্বার ফ্ল্যাটে থাকে সেই তথ্যটা আমার কাছে নেই । ওদের স্কুলের পিকআপ এসে নিয়ে যায় তাই অন্যদের সাথে আমার তেমন পরিচিতি নেই ।
আচ্ছা যদি ফেসবুকের মত প্রতিবেশীদের জন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া থাকত তাহলে আমার মত ওয়ার্কিং মাদারের কতই না সুবিধা হত । “ - রিনা বাসার নিচে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিল ।
“রিনা আপা -”
- “হ্যাঁ শফিক সাহেব বলুন ?”
“আপা, আমি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আপনার সমস্যার কথা শুনেছি । যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা সাজেশন দিতে পারতাম । “
- “শফিক সাহেব, আপনার সাজেশনে যদি আমার বেবীদের কোন উপকার হয় তাহলে সেটা বলে ফেলুন, ওদের জন্য আমি সত্যি খুব টেনশনে আছি ।”
“আমাদের কমিউনিটিতে আমরা একটা প্রোপার্টি টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম যার নাম “স্কয়ারফিট” সেটার সার্ভিস ব্যবহার করি । সেখানে আপনার বাচ্চাদের কিছু ক্লাসমেটের খোঁজ পাওয়া সহজ হবে । আমি কি দেখব ?"
- “শফিক সাহেব ধন্যবাদ । আসলে আমি তো অল্পদিন ধরে এসেছি, সেভাবে কারো সাথে পরিচয় নেই, আপনি যদি এই উপকারটা করতেন খুব ভালো হত “
“আচ্ছা আপা, আমি আজই স্কয়ারফিটে এটার খোঁজ নেব, ভালো থাকবেন । “
শফিক সাহেব চলে গেলে রিনা ভাবল - “বাহ প্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল প্রতিবেশীরা আরো কাছে আসার সুযোগ পাচ্ছে । সেই সাথে বাচ্চারা পাচ্ছে খেলার সাথী, এবং শহুরে জীবনে খানিকটা স্বাধীনতার ছোঁয়া । “